উত্তরাখণ্ডের পউরি গাড়ওয়ালের একটি মন্দিরে এক দলিত দম্পতিকে বিয়ে করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুরোহিত নাগেন্দ্র সেলওয়ালের বিরুদ্ধে SC/ST (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ৫ মার্চ সকালে বর অজয় এবং কনে অঙ্কিতা তাদের বিয়ের জন্য আদিশক্তি মা ভবানেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছান। কিন্তু তাদের মন্দিরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। কনের বাবা, নকুল দল, অভিযোগ করেন যে পুরোহিত মন্দিরের দরজা তালাবদ্ধ করে রাখেন এবং তাদের জাতি উল্লেখ করে অপমান করেন। এ ঘটনার পর, ১২ মার্চ নকুল দল স্থানীয় রাজস্ব পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সাব-ইন্সপেক্টর রাকেশ বিষ্ট জানান, পুরোহিত সেলওয়াল দম্পতিকে অপমান করেন এবং তাদের বিয়ে নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হতে দেননি। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপের পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্দিরের দরজা খুলে দেয়। এরপরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। স্থানীয় বাসিন্দা নীতিন কাইনথোলা জানান, “যজ্ঞশালা দিনে সব সময় খোলা থাকে। কিন্তু ওই দিন বিয়ের সময় তালাবদ্ধ ছিল, যা অস্বাভাবিক।” তিনি আরো বলেন, “পুরোহিত তাদের ঢুকতে দিতে চাননি।” পরিবারটি আর্থিক কারণে মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করেছিল। কিন্তু এমন বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. আশীষ চৌহান মামলাটি নিয়মিত পুলিশের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনা উত্তরাখণ্ডে চলমান জাতিগত বৈষম্যের আরেকটি উদাহরণ। এর আগে জানুয়ারি ২০২৩-এ, উত্তরকাশীতে এক দলিত ব্যক্তি মন্দিরে প্রবেশের জন্য আক্রমণের শিকার হন। এই ঘটনাগুলি ভারতের ধর্মীয় স্থানগুলিতে চলমান জাতিগত বৈষম্যের সমস্যাকে নতুন করে সামনে এনেছে। এ ধরনের বৈষম্যমূলক ঘটনা ভারতীয় সমাজে সামাজিক ন্যায় এবং সমতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। প্রশাসন ও আইনের কঠোর পদক্ষেপ এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
Facebook Comments Box