মহারাষ্ট্রের পিম্পরি চিন্চওয়াডে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী হিন্দু সাকল সমাজ-এর একদল সদস্য। সম্প্রতি, তারা এক সর্বজনীন পার্কে গোমূত্র ছিটিয়ে ও ‘শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ’ করে, কারণ সেখানে দুই মুসলিম মহিলা নামাজ আদায় করেছিলেন। উল্লেখ্য, পার্কটি এলাকার বিখ্যাত মোরিয়া গোসাভি গণপতি মন্দির-এর কাছে অবস্থিত।
ঘটনার সঠিক দিন জানা না গেলেও, ২৭ এপ্রিল সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা পার্কে এক ধরনের তরল (যা গোমূত্র বলে অনুমান করা হচ্ছে) ছিটিয়ে ‘শিব বন্দনা’ মন্ত্র পাঠ করছেন। হিন্দু সাকল সমাজের দাবি, মুসলিম মহিলাদের নামাজের কারণে পার্কের ‘পবিত্রতা’ নষ্ট হয়েছে এবং তাই তারা শুদ্ধিকরণ করেছে।
এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানা মহলে। মহারাষ্ট্র মুসলিম কনফারেন্স-এর সভাপতি জুবের মেমন বলেন, “এখানকার অনেক পার্কেই মন্দির থাকে, প্রতিদিন পূজা হয়। সরকার যদি ব্যক্তিগতভাবে নামাজ পড়া নিয়ে এত আপত্তি দেখায়, তাহলে সাইনবোর্ড বসিয়ে লেখা হোক—‘এখানে হিন্দু পূজা চলবে, কিন্তু কোনো ইসলামি প্রার্থনা চলবে না’।’’ তাঁর বক্তব্যে প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ স্পষ্ট।
এই ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিল, দেশের সর্বজনীন স্থানে ধর্মীয় সহাবস্থানের সংকট ও সমতার প্রশ্ন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশাসন এখনো জানায়নি, নামাজ বা শুদ্ধিকরণ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না।