উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ ও ভাদোহি জেলায় হিন্দু সংগঠনগুলো প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে নেজা মেলার অনুমতি বাতিল করা হয়। এর আগে সাম্ভল জেলা পুলিশ জনসাধারণের আপত্তির কারণে মেলার আয়োজনের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছিল।নেজা মেলা ঐতিহ্যগতভাবে সৈয়দ সালার মাসুদের স্মৃতিতে অনুষ্ঠিত হয়। মাসুদ ছিলেন মাহমুদ গজনির ভ্রাতুষ্পুত্র এবং ঐতিহাসিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। অভিযোগ রয়েছে যে তিনি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন। হিন্দু সংগঠনগুলো দাবি করেছে যে মেলা চলাকালীন “অবৈধ কার্যকলাপ,” যেমন জমি দখল, ধর্মান্তরণ এবং তথাকথিত “লাভ জিহাদ” ঘটে।
প্রশাসন এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে সেগুলি হল:
১। সাম্ভল জেলা পুলিশ মেলার অনুমতি বাতিল করেছে এবং আয়োজকদের সতর্ক করে বলেছে, কোনো স্মারক স্থাপন বা মেলা আয়োজনের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২।ভাদোহি ও বাহরাইচেও প্রশাসনের কাছে মেলা বন্ধের আবেদন জমা পড়েছে।
৩। ভিএইচপি ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের স্থানীয় নেতারা দাবি করেছেন, মেলা শুধু ঐতিহ্য নয় বরং এটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের মহিমা প্রচারের মাধ্যম।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, “বিজেপি মিশ্র সংস্কৃতি এবং ভ্রাতৃত্ব ধ্বংস করছে। নেজা মেলা এমন একটি উৎসব যেখানে সব ধর্মের মানুষ একত্রে মিলিত হয়।” অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, “যে কেউ আক্রমণকারীকে মহিমান্বিত করে, তারা বিশ্বাসঘাতকতার ভিত্তি শক্তিশালী করছে। স্বাধীন ভারত কোনো বিশ্বাসঘাতককে গ্রহণ করতে পারে না।” নেজা মেলা প্রতি বছর হোলির পরের প্রথম মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়। মেলার মূল আকর্ষণ হলো ৩০ ফুট উঁচু একটি খুঁটি স্থাপন, যার শীর্ষে সবুজ পতাকা থাকে। এ বছরের বিতর্ক এবং প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সাম্ভল ও মোরাদাবাদে মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলো অন্যান্য জেলায়ও একই পদক্ষেপের জন্য দাবি জানাচ্ছে।