পাহেলগাঁও হামলার পর ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার মুলশি তহসিলের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এক বিতর্কিত প্রস্তাব পাস করেছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, বহিরাগত মুসলিমরা ওই গ্রামগুলোর মসজিদে, বিশেষ করে শুক্রবারের নামাজে, অংশ নিতে পারবেন না। অনলাইনে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ঘোটাওয়াড়ে, পীরনহাট, ওয়াদকি এবং লাভলে-র মতো গ্রামগুলোতে জনসমক্ষে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে জানানো হয়েছে যে শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দারাই মসজিদে প্রার্থনা করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি”কে এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পীরনহাটের এক পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “শুক্রবার বহিরাগতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। তাই শুধুমাত্র স্থানীয়দের মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই উল্লেখ করেছেন, পাহেলগাঁও হামলার পর থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বৈষম্য আরও বেড়ে গেছে, এবং এই সিদ্ধান্ত সেই বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের ধর্মীয় জীবন এবং সামাজিক সম্পর্কের উপর বড় ধাক্কা দেবে। বিশেষ করে ভ্রমণকারী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য এটি বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর পুনে জেলার সভাপতি ফায়াজ শেখ সংবাদমাধ্যম ‘মকতুব’-কে জানিয়েছেন, “এই সিদ্ধান্তগুলি অসাংবিধানিক এবং মুসলিমদের একঘরে ও উসকানি দেওয়ার চেষ্টা।”

এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় রিপোর্ট এবং অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই এই প্রস্তাবগুলি পাস করা হয়েছে।

Facebook Comments Box
Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply