শুক্রবার থেকে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী—মলয় ঘটক, ইন্দ্রনীল সেন, ও চন্দ্রনাথ সিনহা, এবং আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, এবং আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ। এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে আগামী রবিবার, ২৩ মার্চ পর্যন্ত। তবে দর্শকদের বিশেষ চাহিদার কারণে সোমবার আরও দুটি শো আয়োজন করা হবে। সেই শোগুলিতে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায়ের দুটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র—“সোনার কেল্লা” এবং “হীরক রাজার দেশে”। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি এবং পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, এই বছর প্রথমবার আসানসোলে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, আগামী বছর থেকে শুধু চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নয়, শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালারও আয়োজন করা হবে, যাতে তারা চলচ্চিত্রের জগৎ সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা লাভ করতে পারে। আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে সরকার গঠনের পরে আসানসোলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্র উৎসব কখনও আয়োজিত হয়নি। এবার সেটাও শুরু হলো।” তিনি আরও জানান, দর্শকদের চাহিদার কারণে উৎসবের নির্ধারিত সময়ের পরেও অতিরিক্ত শো দেখানো হবে। আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, “চলচ্চিত্র শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি সমাজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” উৎসবের প্রথম দিন দেখানো হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি “সোনার কেল্লা”। এই উৎসবের আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, শিশু কিশোর একাডেমি, এবং তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। সহযোগিতায় রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও আসানসোল ফিল্ম একাডেমি। আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে আসানসোলের শিশু-কিশোররা শুধুমাত্র চলচ্চিত্র দেখার আনন্দই উপভোগ করবে না, বরং চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি তাদের আগ্রহ ও জ্ঞানও বাড়বে। এই উদ্যোগ আসানসোলের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ

Facebook Comments Box
Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply