ধর্মীয় বিদ্বেষে চিকিৎসাসেবা অস্বীকার: কলকাতায় গর্ভবতী মুসলিম নারীকে নিয়ে বিতর্কে প্রখ্যাত চিকিৎসক, FIR দায়ের
কলকাতা, ২৯ এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গের কাস্টুরি দাস মেমোরিয়াল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় গাইনোকোলজিস্ট ও অবসটেট্রিশিয়ান ডা. সি. কে. সরকার-এর বিরুদ্ধে গুরুতর ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং চিকিৎসাসেবা অস্বীকারের অভিযোগ উঠেছে। একটি মুসলিম পরিবার দাবি করেছে, গর্ভবতী মহিলার চিকিৎসা করতে স্পষ্টভাবে অস্বীকৃতি জানান ওই চিকিৎসক, কেবলমাত্র তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সাত মাস ধরে ওই চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকা গর্ভবতী নারী যখন নিয়মিত চেকআপের জন্য হাসপাতালে যান, তখন ডা. সি. কে. সরকার বলেন,
“কাশ্মীরের ঘটনার পর আমি আর কোনো মুসলিম রোগী দেখব না। হিন্দুরা তোমার স্বামীকে মেরে ফেলুক, তখন বুঝবে কেমন লেগেছে। আমাদের মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা উচিত।”
এই বিভীষিকাময় মন্তব্যে ভেঙে পড়েন ওই গর্ভবতী নারী। তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং নিজের ও গর্ভস্থ সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগে ভোগেন। পরিবারের দাবি, এই ঘটনা শুধু অমানবিক নয়, এটি একেবারেই চিকিৎসা নীতিমালার পরিপন্থী এবং মানবাধিকারের জঘন্য লঙ্ঘন।
ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে একটি FIR দায়ের করা হয় ডা. সি. কে. সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল চিকিৎসকটির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে পরিবার।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অসংখ্য মানুষ পোস্টটি শেয়ার করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই জোর দিয়ে বলেছেন,
“চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার—তা ধর্ম বা জাতির ভিত্তিতে বাছবিচার করার কোনো সুযোগ নেই।”
বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই ঘটনা চিকিৎসা জগতে একটি বিপজ্জনক নজির সৃষ্টি করতে পারে। একজন গর্ভবতী নারীর প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা প্রমাণ করে, কিভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষ এখনো আমাদের সমাজের শিরা-উপশিরায় রয়ে গেছে।
পরিবারটি জানিয়েছে, তারা এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তবে প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে কিছুটা আশ্বস্ত। তারা সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং জানিয়েছে—
“এই ঘটনা যেন আর কারো সঙ্গে না ঘটে। আমরা চাই সুবিচার হোক, এবং এই ধরনের মানসিকতা পেশাগত জগতে আর কখনো সহ্য না করা হয়।”
এই প্রতিবেদনটি যদি আপনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, অনুগ্রহ করে শেয়ার করুন। ধর্মের ভিত্তিতে চিকিৎসা বর্জন একটি অপরাধ, এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একসাথে দাঁড়াতে হবে।“কলকাতায় গর্ভবতী মুসলিম মহিলার চিকিৎসা না করে বিতর্কে চিকিৎসক, FIR দায়ের”
ধর্মীয় বিদ্বেষে চিকিৎসাসেবা অস্বীকার: কলকাতায় গর্ভবতী মুসলিম নারীকে নিয়ে বিতর্কে প্রখ্যাত চিকিৎসক, FIR দায়ের
কলকাতা, ২৯ এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গের কাস্টুরি দাস মেমোরিয়াল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় গাইনোকোলজিস্ট ও অবসটেট্রিশিয়ান ডা. সি. কে. সরকার-এর বিরুদ্ধে গুরুতর ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং চিকিৎসাসেবা অস্বীকারের অভিযোগ উঠেছে। একটি মুসলিম পরিবার দাবি করেছে, গর্ভবতী মহিলার চিকিৎসা করতে স্পষ্টভাবে অস্বীকৃতি জানান ওই চিকিৎসক, কেবলমাত্র তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সাত মাস ধরে ওই চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকা গর্ভবতী নারী যখন নিয়মিত চেকআপের জন্য হাসপাতালে যান, তখন ডা. সি. কে. সরকার বলেন,
“কাশ্মীরের ঘটনার পর আমি আর কোনো মুসলিম রোগী দেখব না। হিন্দুরা তোমার স্বামীকে মেরে ফেলুক, তখন বুঝবে কেমন লেগেছে। আমাদের মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা উচিত।”
এই বিভীষিকাময় মন্তব্যে ভেঙে পড়েন ওই গর্ভবতী নারী। তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং নিজের ও গর্ভস্থ সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগে ভোগেন। পরিবারের দাবি, এই ঘটনা শুধু অমানবিক নয়, এটি একেবারেই চিকিৎসা নীতিমালার পরিপন্থী এবং মানবাধিকারের জঘন্য লঙ্ঘন।
ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে একটি FIR দায়ের করা হয় ডা. সি. কে. সরকারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল চিকিৎসকটির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে পরিবার।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অসংখ্য মানুষ পোস্টটি শেয়ার করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই জোর দিয়ে বলেছেন,
“চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার—তা ধর্ম বা জাতির ভিত্তিতে বাছবিচার করার কোনো সুযোগ নেই।”
বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই ঘটনা চিকিৎসা জগতে একটি বিপজ্জনক নজির সৃষ্টি করতে পারে। একজন গর্ভবতী নারীর প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা প্রমাণ করে, কিভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষ এখনো আমাদের সমাজের শিরা-উপশিরায় রয়ে গেছে।
পরিবারটি জানিয়েছে, তারা এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তবে প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে কিছুটা আশ্বস্ত। তারা সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং জানিয়েছে—
“এই ঘটনা যেন আর কারো সঙ্গে না ঘটে। আমরা চাই সুবিচার হোক, এবং এই ধরনের মানসিকতা পেশাগত জগতে আর কখনো সহ্য না করা হয়।”
এই প্রতিবেদনটি যদি আপনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, অনুগ্রহ করে শেয়ার করুন। ধর্মের ভিত্তিতে চিকিৎসা বর্জন একটি অপরাধ, এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে একসাথে দাঁড়াতে হবে।