পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর একদিকে যখন বিরোধীরা একজোট হয়ে মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তখনই কেরলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধীদের উদ্দেশে খোঁচা দেওয়া নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বিস্ফোরক দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী পহেলগাঁও হামলার আগেই সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েছিলেন, এবং সেই কারণেই তিনি জম্মু-কাশ্মীর সফর বাতিল করেছিলেন।
খড়্গের বক্তব্য, “আমি জানতে পেরেছি, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। সংবাদপত্রেও এ নিয়ে পড়েছি।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করেছে যে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটক হত্যাকাণ্ডে গোয়েন্দা ব্যর্থতা হয়েছে। অথচ তারা আগাম জানতে পেরেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।”
প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে আগে থেকেই দাবি করা হয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB) ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার খবর ছিল, এবং এপ্রিল মাসেই সেই হামলা হওয়ার তথ্যও গোয়েন্দাদের কাছে পৌঁছেছিল। মোদীর জম্মু-কাশ্মীর সফর নির্ধারিত ছিল ১৯ এপ্রিল, যা শেষমেষ বাতিল করা হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতের প্রশ্নে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর বিরোধীরা রাজনীতি না করে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। খড়্গেও সেই সময় বলেছিলেন, “সঙ্কটের সময় রাজনীতি করব না।” কিন্তু গত শনিবার কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে বিরিঞ্চাম সমুদ্রবন্দর উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের দিকে তির্যক মন্তব্য করেন, “আমি কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, আপনি তো ইন্ডিয়া জোটের শক্তিশালী স্তম্ভ। এখানে শশী তারুর বসে আছেন। আজকের এই অনুষ্ঠান অনেকেরই ঘুম উড়িয়ে দেবে!”
এই মন্তব্যের পর থেকে বিরোধী শিবিরে নতুন করে ক্ষোভ দানা বাঁধছে, এবং পহেলগাঁও হামলার গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে সরকারের জবাবদিহি দাবি করছে কংগ্রেস।