দিঘা/কাঁথি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধনে বুধবার দিঘায় জগন্নাথধামের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে উপস্থিত হলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি পৌঁছন মন্দিরে, যদিও মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মূল উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছিল দুপুরেই। একই দিনে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে ‘সনাতনী সমাবেশ’-এর ডাক দিয়েছিলেন, যা কার্যত দিঘার অনুষ্ঠানের পাল্টা কর্মসূচি। তবে দিলীপ ঘোষ সেই সমাবেশ এড়িয়ে সরাসরি দিঘায় হাজির হন, যা বাংলার রাজনীতিতে এক প্রকার ‘সাবধানী দূরত্ব’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “অক্ষয় তৃতীয়ার মতো শুভ দিনে মন্দির প্রতিষ্ঠা এক ধর্মীয় ও হিন্দু জাগরণের কাজ। মুখ্যসচিব আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তাই এসেছি। ভগবান যখন তিনশো কিলোমিটার এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, আমি কি দুশো কিলোমিটার যেতে পারব না?”

কাঁথিতে না যাওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন “আমাকে তো সেখানে কেউ আমন্ত্রণ করেননি। দিঘা ও শ্যামপুরে আমন্ত্রণ পেয়েছি, তাই গেছি। সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব নয়।” এদিকে শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষের দিঘা যাওয়া কিংবা কাঁথি এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি একজনেরই জবাব দিই, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিলীপ ঘোষের এই পদক্ষেপকে অনেকেই দেখছেন রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে একপ্রকার সংলাপ ও সৌজন্যের বার্তা হিসেবে। পাশাপাশি, বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শুভেন্দু-দিলীপ দূরত্বের বাস্তবতাও স্পষ্ট।

Facebook Comments Box
Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply