কর্ণাটক সরকার মুসলিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মর্যাদা পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম শিক্ষার্থী ভর্তি নীতির বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে। তবে এই ছাড় খ্রিস্টান, জৈন ও পারসি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
সংবিধানের ৩০(১) অনুচ্ছেদের অধীনে সংখ্যালঘুদের শিক্ষার অধিকার সুরক্ষিত রাখতে তৈরি হওয়া ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস অ্যাক্ট’-এ সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত।
পূর্বে কর্ণাটকের ধর্মীয় সংখ্যালঘু উচ্চশিক্ষা এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু মর্যাদা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ৫০% শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে খ্রিস্টান, জৈন ও পারসি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এত সংখ্যক শিক্ষার্থী জোগাড়ে ব্যর্থ হওয়ায় রাজ্য সরকার এই নীতি প্রত্যাহার করে।
ফলে বহু প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু মর্যাদা লাভ করে। তবে মুসলিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে এই ছাড়ের বিরোধিতা করা হয়। তাদের যুক্তি, তারা নিজেদের সম্প্রদায় থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে সক্ষম এবং এই শিথিলতার ফলে অমুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এই বিষয়টি রাজ্যের সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রী বি. জ়েড. জামীর আহমেদ খান রাজ্য সরকারের সামনে তুলে ধরলে, সরকার মুসলিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ন্যূনতম শিক্ষার্থী ভর্তি শর্ত থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে মুসলিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু’ ট্যাগ বজায় রাখতে পারবে, আগের মতোই নিজেদের সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে।