অহমদাবাদ, গুজরাট: অহমদাবাদের ভাটভা অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায় অভিযোগ করেছেন যে, কিছু উগ্রপন্থী ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছে, বিশেষত যাঁরা টুপি পরিহিত ছিলেন, এমনকি শিশুরাও এই আক্রমণের শিকার হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেছেন যে, মুখোশ পরিহিত কিছু লোক তাদের বাড়িঘরের দিকেও পাথর ছুড়েছে। এছাড়া, কয়েকজন মুসলিমকে ছুরির ভয় দেখিয়ে নির্দিষ্ট স্লোগান দিতে বাধ্য করার অভিযোগও উঠেছে।

প্রতিবছর রমজানে একই ঘটনা, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নয়
ভাটভার মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবি, প্রতি রমজানেই এমন ঘটনা ঘটে, কিন্তু প্রশাসন কখনোই দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না।
এই ঘটনার পর স্থানীয় মুসলিমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং দুই অভিযুক্তের নামও উল্লেখ করেছেন—অমিত ও সুনীল।
তবে, এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে অনীহা দেখায় এবং দীর্ঘ এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরই তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। এমনকি দোষীদের নাম দেওয়ার পরও পুলিশ তাদের “অজ্ঞাত ব্যক্তি” হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং তারা কেবল তখনই সক্রিয় হয়, যখন ক্ষতিগ্রস্তরা ভিডিও প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
“আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে?”
এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মাহদি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“যদি আমাদের কিছু হয়, তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে?”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিবার আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই বদলায় না। অপরাধীরা শাস্তি পায় না, পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেয়।”
মাহদি অভিযোগ করেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করছে।
একটি ভিডিওবার্তায় তিনি শান্তির আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পবিত্র রমজান মাসে পরিবেশ অশান্ত হওয়া উচিত নয়। এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ চাই, যেখানে সবাই—নারী, শিশু—নির্ভয়ে থাকতে পারবে, কোনো ভয় বা দ্বন্দ্ব ছাড়াই।”