নামাজ পড়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর উত্তাল হয়ে উঠল মীরাটের IIMT বিশ্ববিদ্যালয়। এক মুসলিম ছাত্রকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে ৪০০-র বেশি ছাত্র-ছাত্রী বিক্ষোভে সামিল হলে পুলিশের কড়া ব্যবস্থা, ৬ জন ছাত্র গ্রেফতার।

১৩ মার্চ, হোলির আগের দিন প্রায় ৫০ জন মুসলিম ছাত্র ক্যাম্পাসে খোলা জায়গায় নামাজ পড়েন, যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলি অভিযোগ তোলে, দাবি করে এটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা।২২ বছর বয়সি ছাত্র খালিদ প্রধানে (ওরফে খালিদ মেওয়াতি) প্রথমে আটক করা হয়, পরে তাকে জেলে পাঠানো হয়।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খালিদ ও তিন নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করে।

সোমবার, খালিদের মুক্তির দাবিতে প্রায় ৪০০ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী IIMT বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হয়।পুলিশ একটি ‘অবৈধ জমায়েত’ বলে দাবি করে লাঠিচার্জ করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।পরে ৬ জন মুসলিম ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়।

SP রাকেশ কুমার মিশ্রা বলেন, “ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়েত ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। হোলির সময় এই ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়তে পারত।”গঙ্গানগর থানার SHO অনুপ সিংহ জানান, BNS ধারা ২৯৯ ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। IIMT গ্রুপের মিডিয়া ইনচার্জ সুনীল শর্মা বলেন, “নামাজ খোলা জায়গায় পড়া হয়েছিল এবং ভিডিও এমনভাবে ছড়ানো হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে।”

প্রতিবাদী ছাত্রনেতা শান মহম্মদ দাবি করেন, “আমাদের আলোচনার নামে থানায় ডেকে পরে আটক করা হয়েছে।”এক ছাত্র বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজাও হয়, কিন্তু মুসলিম ছাত্রদের উপর এই একতরফা দমনপীড়ন কেন?”

স্থানীয় হিন্দু সংগঠন ‘কার্তিক হিন্দু’র’ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।সংগঠনটি দাবি করে, “নামাজ পড়ার ভিডিও ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাল করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে।”

পুলিশ ক্যাম্পাসের আশেপাশে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ছাত্রদের শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রদের একাংশ দাবি করছে, প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।

এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় আচরণ ও প্রশাসনিক কঠোরতার বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছে।

Facebook Comments Box
Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply