কর্ণাটক সরকার সরকারি চুক্তির ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য ৪% সংরক্ষণ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির মতোই মুসলিম ঠিকাদারদের জন্যও এই সংরক্ষণ প্রযোজ্য হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে এবং চলমান বাজেট অধিবেশনে একটি বিল পেশ করা হবে।
কর্ণাটক ট্রান্সপারেন্সি ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (KTPP) আইন, ১৯৯৯ সংশোধনের মাধ্যমে মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য ১ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি চুক্তিতে ৪% সংরক্ষণ প্রদান করা হবে।
এছাড়া, দলিত ও তফসিলি উপজাতি (SC/ST) সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের সীমা ১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা হয়েছে।
সংখ্যালঘু নেতারা আগে থেকেই মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন, যা SC, ST এবং অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মতোই সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ ছিল। সেই অনুরোধ বিবেচনা করেই সরকার এই সংরক্ষণ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
BJP-এর প্রতিক্রিয়া
তবে, বিজেপি এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে এবং একে “তোষণ রাজনীতির চূড়ান্ত পর্যায়” বলে অভিহিত করেছে।
বিজেপির কর্ণাটক শাখার সভাপতি বি.ওয়াই. বিজয়েন্দ্র দাবি করেছেন যে, কংগ্রেস সরকার রাজ্যকে বিভেদের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “যখন কোনো দরপত্র ডাকা হয়নি বা কাজ বরাদ্দ করা হয়নি, তখন সংরক্ষণের কী দরকার?”
তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস কি মনে করে যে শুধুমাত্র মুসলিমরাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশ?”
বিজয়েন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার উদ্দেশে বলেন, “যদি তিনি সত্যিকারের ‘আহিন্দা’ (সংখ্যালঘু, অনগ্রসর শ্রেণি ও দলিতদের জন্য ব্যবহৃত একটি কন্নড় শব্দ) নেতা হন, তবে তাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করা উচিত ছিল।”
বিজেপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, “মুসলিমদের জন্য শিক্ষায় ও চাকরিতে ধর্মীয় ভিত্তিতে সংরক্ষণ আগে থেকেই ছিল, যা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী। এখন সরকার সরকারি চুক্তিতেও সংরক্ষণ চালু করতে যাচ্ছে, যা তোষণ রাজনীতির চরম পর্যায়।”
তিনি বলেন, “যদি এটি সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য হতো, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকতো না।”