শনিবার মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলার খালওয়া ব্লকের রোশনি চৌকি এলাকায় এক ভয়াবহ অপরাধে কেঁপে উঠেছে গোটা রাজ্য। আদিবাসী এক নারীকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে লৌহদণ্ড ঢুকিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নারী দুই সন্তানের জননী ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে তাঁর মেয়ে পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে মাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারী তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে জরায়ু উপড়ে ফেলে। তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে ছিল ঘরের মেঝেতে।
পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে—হরি পালভি (যার বাড়িতে দেহটি উদ্ধার হয়) ও সুনীল ধুরভে। দু’জনই ভুক্তভোগীর পরিচিত ছিলেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
নারীর মৃতদেহ খান্ডওয়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত চলছে। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান,
“প্রাথমিক রিপোর্ট অত্যন্ত ভয়ঙ্কর, ময়নাতদন্ত থেকে আরও তথ্য সামনে আসবে।”
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটওয়ারি এই নৃশংস ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন—
“এই বর্বরতা প্রাচীন যুগের ‘জঙ্গল রাজ’-কেও ছাড়িয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন,
“আইনের ভয় না থাকলেই এ ধরনের দুঃসাহসিক অপরাধ সম্ভব। মেয়েদের উপর এত ভয়ঙ্কর নিপীড়নের পরও সরকার চুপ—এটাই প্রমাণ করে, রাজ্যে আইনের শাসনের চরম অবনতি ঘটেছে।”
মানবাধিকার কর্মীদের প্রশ্ন, আদিবাসী অঞ্চলে বারবার নারীদের উপর এমন নির্মম হিংসার ঘটনা ঘটছে, কিন্তু প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে কোনও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে না।
এই ঘটনা আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা ও শাসনের ব্যর্থতার একটি নিদর্শন বলেই মনে করছেন সমাজকর্মীরা।