সুপার নিউমারারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি কেন দ্রুত হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে আর্জি বারের সদস্যদের। মামলা গ্রহণ প্রধান বিচারপতির।
আইনজীবীদের অভিযোগ, “আমরা অন্তত দুজনকে চিনি, যাঁরা মামলাকারী। এই ধরনের ঘটনায় বার আতঙ্কিত। ১৪৪ ধারা ছিল।” আইনজীবীদের প্রশ্ন, “তাহলে কীভাবে সেখানে এরা জড়ো হল?”
বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা সওয়াল করেন, “পুলিশ দর্শকের মতো দেখছিল। পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট তলব করুক। বিচার ব্যবস্থাকে বার বার টার্গেট করা হচ্ছে।”
আইনজীবীরা আদালতে প্রশ্ন তোলেন, “ওনারা চার ঘণ্টা ধরে ওখানে কী করছিলেন? বিচারপতির ছবি মারিয়ে দেওয়ার ঘটনা হয়েছে।”
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যদি তাঁদের রায় পছন্দ না হয়, তাহলে আবেদন করা উচিৎ। এভাবে বিক্ষোভ দেখানো যায় না! এটা প্রাথমিকভাবে ভুল। তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। আমরা বিষয়টি গ্রহণ করছি।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার হাইকোর্ট চত্বরেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম। তাঁদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে। সুপার নিউমেরারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত রায় দেওয়া হচ্ছে না কেন এই প্রশ্ন তুলে বিচারপতিদের বিরুদ্ধেও ওঠে স্লোগান। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও ঘেরারও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, আইনজীবীদের লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ার চেষ্টা চলে, উন্মত্ত আচরণের পাশাপাশি গালিগালাজও করা হয়। এবার সেই ঘটনার জল গড়াল হাইকোর্টে।