জম্মু সীমান্তে শহিদ সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজকে বিএসএফ-এর শ্রদ্ধা নিবেদন
শনিবার জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তান ঘন ঘন গোলাবর্ষণ শুরু করলে বিএসএফ-এর সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ শহিদ হন। ১০ মে’র সেই সংঘর্ষে তাঁর “চরম আত্মত্যাগ”-এর জন্য বিএসএফ-এর ডিজি সহ সমস্ত স্তরের কর্মকর্তারা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিএসএফ জম্মুর মতে, শহিদ ইমতিয়াজ ওই সময় সীমান্ত পোস্টের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং “সাহসিকতার সঙ্গে সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দেন।” গোলাগুলির সময় অসাধারণ নেতৃত্ব ও সাহস প্রদর্শনের পর তিনি প্রাণ হারান, মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে যখন ভারত ও পাকিস্তান চূড়ান্তভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
জম্মুর আর.এস. পুরা ও পুঞ্চ অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা ছিল সবচেয়ে তীব্র, যেখানে একাধিক প্রাণহানি ও ব্যাপক ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে। এমনকি জম্মু শহরও ড্রোন-ভিত্তিক হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, যা দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এই সংঘর্ষে নতুন মাত্রা যোগ করে।
রবিবার, জম্মুর পালৌরা ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টারে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় শহিদ ইমতিয়াজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএসএফ জানিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা দেয়। বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্র বলেন, “আজ ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক কার্যকলাপ ও গুলিবিনিময় বন্ধ রাখতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।” তিনি আরও জানান, উভয় দেশের সামরিক বাহিনীকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজের আত্মত্যাগ ভারতের সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত প্রতিদিনের ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্বের প্রতিচ্ছবি। তাঁর বীরত্ব গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।