জাকার্তা, ৩০ মে: কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ মন্তব্য করেছেন যে, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের “প্রধান সমস্যা” সমাধান হয়েছে এবং সেইসঙ্গে অঞ্চলটিতে “সমৃদ্ধি” এসেছে। যদিও কংগ্রেস শুরু থেকেই মোদি সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচক ছিল।
ইন্দোনেশিয়া সফরে এক কূটনৈতিক আলোচনার সময় খুরশিদ এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় সমস্যা ছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের মধ্যে সরকার যে মনোভাব পোষণ করত, তাতে মনে হতো যেন কাশ্মীর বাকি দেশের থেকে আলাদা। কিন্তু সেই ধারা বাতিল করা হয়েছে এবং তা চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছে।”
এক সর্বদলীয় ভারতীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে খুরশিদ এই বক্তব্য দেন।
তিনি আরও দাবি করেন, ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু ও কাশ্মীরে পরিবেশ বদলেছে এবং তা অগ্রগতির পথ খুলে দিয়েছে। তিনি সাম্প্রতিক নির্বাচনে ৬৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, “পরবর্তী সময়ে ৬৫ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়েছে। আজ কাশ্মীরে একটি নির্বাচিত সরকার রয়েছে। কাজেই যারা এই সমৃদ্ধিকে নস্যাৎ করতে চায়, তাদের পদক্ষেপ বাঞ্ছনীয় নয়।”
তবে খুরশিদের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কারণ তিনিই ২০১৯ সালে এই ধারা বাতিলের বিরোধিতা করেছিলেন। কংগ্রেস দল তখন এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অসাংবিধানিক বলেই অভিহিত করেছিল।
খুরশিদ যে প্রতিনিধিদলের অংশ, সেখানে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারাঙ্গি, ব্রিজলাল, প্রদান বরুয়া ও হেমাং জোশি, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিআই(এম)-এর জন ব্রিট্টাস এবং প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মোহন কুমার। এই দলটি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর সফর করছে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারতের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদারের লক্ষ্যে।
এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেস কি নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসছে? নাকি এটি শুধুই খুরশিদের ব্যক্তিগত মত? দল এখনও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।