পিলিভীত, উত্তর প্রদেশ | ৩০ মে ২০২৫: উত্তর প্রদেশের পিলিভীত জেলার বারখেরা কসবার মুসলিম সাংবাদিক ইসরার ও তাঁর স্ত্রী মিরাজ বিষপান করেছেন, অভিযোগ অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর স্থানীয় প্রশাসন ও ঠিকাদারদের দ্বারা চরম হয়রানির মুখে পড়ে তাঁরা এই চরম সিদ্ধান্ত নেন।
বিষপানের আগে, তাঁরা একটি ভিডিও বার্তায় বিষণ্ণ মুখে জানান যে, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বারবার পুলিশি হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। ভিডিওতে ইসরার বলেন, “কিছুদিন আগে আমি রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করি, যার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন। তারই ফলস্বরূপ ১৯ মে রাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এতটাই অসহায় হয়ে পড়েছি যে, আমাদের সামনে বিষপান ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা নেই। SDM নাগেন্দ্র পাণ্ডে, বারখেরা নগর পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান শ্যাম বিহারী ভোজওয়াল এবং ঠিকাদার মোইন আমাদের এতটাই নির্যাতন করেছেন যে আমরা বাধ্য হয়েছি এই পদক্ষেপ নিতে।”
ইসরার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে আবেদন করেন, “পুলিশ যারা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের বাড়িতে এসেছিল, তারাই আমাদের পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করেছে। আমরা এখন বিষ খাচ্ছি। যোগীজি, আমরা ন্যায় বিচার চাই।”
ভিডিওটিতে শেষে ইসরার ও তাঁর স্ত্রীকে বিষ পান করতে দেখা যায়।
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই তাঁদের আত্মীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক।
জানা গেছে, ইসরারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ঠিকাদার মোইনের অভিযোগে বারখেরা থানায় চাঁদাবাজির মামলা রুজু হয়, যার পর থেকে দম্পতি পলাতক ছিলেন। পুলিশের একাধিক অভিযানে বাড়িতে হানা দেওয়ার ফলে ইসরার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর দাবি, “এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক, কারণ আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলাম।”
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন CO বিসলপুর।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।