জাতীয় জনতা দলের (আরজেডি) সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব রবিবার বড়সড় সিদ্ধান্তে তাঁর বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করেছেন। এই সিদ্ধান্ত এসেছে একদিন পরেই, যখন তেজ প্রতাপ সামাজিক মাধ্যমে এক যুবতীর সঙ্গে নিজের প্রেমের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেন।
এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ লালু লেখেন:
“এখন থেকে তেজ প্রতাপের আরজেডি বা পরিবারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন,
“ব্যক্তিগত জীবনে নৈতিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করা আমাদের সামাজিক ন্যায়ের সংগ্রামকে দুর্বল করে। আমার বড় ছেলের কার্যকলাপ, প্রকাশ্য আচরণ এবং দায়িত্বহীনতা আমাদের পারিবারিক সংস্কার ও মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই আমি তাঁকে দল ও পরিবার থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
লালু পরিষ্কার জানান, তেজ প্রতাপ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কী করবেন তা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত, তবে পরিবার ও দলের নীতির সঙ্গে সেটি মানানসই নয়।
“আমি সর্বদা শালীনতা ও পারিবারিক শৃঙ্খলার পক্ষে থেকেছি এবং আনুগত্যশীল সদস্যরা তা মেনেও চলেছে।”
তেজ প্রতাপের বিতর্কিত পোস্ট:
শনিবার তেজ প্রতাপ যাদব ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে এক যুবতীর সঙ্গে তাঁকে দেখা যায়।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন—
“এই হলেন অনুষ্কা যাদব। গত ১২ বছর ধরে আমরা একে অপরকে চিনি। আমরা প্রেমে আছি এবং ১২ বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে।”
তবে রাতেই সেই পোস্ট মুছে ফেলা হয়। পরে তেজ প্রতাপ দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট “হ্যাক” করা হয়েছে এবং তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে “হেয় ও হয়রানি” করার ষড়যন্ত্র চলছে।
৩৭ বছর বয়সী তেজ প্রতাপ ২০১৮ সালে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দরোগা প্রসাদ রাইয়ের নাতনি ঐশ্বর্য রাইকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই ঐশ্বর্য তাঁর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। বর্তমানে সেই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আদালতে চলছে।
আরজেডির শীর্ষ স্তরের এই পারিবারিক সংকট রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লালুর এই কঠোর অবস্থান তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে আরজেডিকে কেন্দ্রীভূত রাখতে চেষ্টারই অংশ।
\