SDPI-এর জাতীয় সভাপতি এমকে ফয়জিকে অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করল ED
নতুন দিল্লি: মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (PMLA) এর আওতায় সমাজ গণতান্ত্রিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI)-এর জাতীয় সভাপতি এমকে ফয়জিকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সোমবার রাতে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
PFI-র সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ
এই গ্রেপ্তারি নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর সঙ্গে আর্থিক সংযোগ সংক্রান্ত তদন্তের অংশ হিসেবে করা হয়েছে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত SDPI-কে দীর্ঘদিন ধরে PFI-র সহযোগী সংগঠন হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার UAPA আইনের আওতায় PFI-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
কেরালায় বাড়িতে ED-র তল্লাশি
ফয়জির গ্রেপ্তারের আগে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর কেরালার বাসভবনে ED অভিযান চালায়। পপুলার ফ্রন্টের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযানের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি চালানো হয়। গোপনীয়তা বজায় রেখে, কপ্পম থানার সাব-ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে ২০ জন পুলিশ সদস্য এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন।
SDPI-র প্রতিক্রিয়া: ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’
ফয়জির গ্রেপ্তারের ঘটনায় SDPI তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের জাতীয় সহ-সভাপতি বি.এম. কাম্বলে একে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিজেপি সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করতেই এ ধরনের অভিযান চালাচ্ছে এবং এই পদক্ষেপগুলো সরকারের সমালোচকদের ভয় দেখানোর কৌশল।
‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’
PFI-সহ বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে SDPI বরাবরই সোচ্চার। PFI নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, ফয়জি একে সরাসরি গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক অধিকারের ওপর আঘাত বলে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিজেপি সরকার তদন্ত সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের দমন করছে এবং দেশে এক ধরনের “ঘোষিত নয়, এমন জরুরি অবস্থা” চলছে।
এই গ্রেপ্তারির ফলে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে, যেখানে কেন্দ্রের পদক্ষেপকে একপাক্ষিক এবং বিরোধীদের দমনমূলক বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।