ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫, বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে ফ্যাসিবাদী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সচেতন সমাজ ,গণতন্ত্র প্রেমী জনগণ আন্দোলন শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলাও তার ব্যতিক্রম নয় বিভিন্ন দল সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে—কখনও সংগঠনগতভাবে, কখনও যৌথভাবে। এরই মাঝে গত ৮ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত জঙ্গীপুর মহকুমার কয়েকটি স্থানে এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়।
এসডিপিআই-এর রাজ্য সভাপতি হাকিকুল ইসলাম আজ রাজ্য কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এই সহিংসতার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচি ছিল, যাতে মূলত কমবয়সী ছেলেরা অংশ নেয়। কিন্তু বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, সাংবাদিক ও এলাকার জনগণের মতে, এই যুবকরা স্থানীয় ছিল না—এরা ছিল বিজেপির বহিরাগত লোক। পরিকল্পিতভাবে মিছিলের উপর ইট-পাটকেল ছোঁড়ার মাধ্যমে বিজেপিই এই আন্দোলনকে সহিংস করে তোলে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ১২ এপ্রিল সকালে পুলিশের পোশাক পরে যারা এলাকায় ঘরবাড়ি ও দোকান পুড়িয়েছে, তারা আসলে পুলিশ ছিল না, বরং ছিল বিজেপির গুন্ডা বাহিনী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে।
এসডিপিআই-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি ও তাদের সহযোগী কিছু মিডিয়া, বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি স্পষ্ট জানান, “৮ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে জঙ্গীপুর মহকুমায় ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে এসডিপিআই-এর কোনও কর্মসূচি ছিল না।”
তিনি রাজ্য সরকার ও জনগণকে এই মিথ্যা প্রচার সম্পর্কে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সাম্প্রদায়িক নন’ বলে উল্লেখ করেন। হাকিকুল ইসলাম বলেন, “২০২৬ সালের নির্বাচনে জেতার জন্য বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি এই দাঙ্গা ঘটিয়েছে।” তিনি রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে আরও বেশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানান