বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় রাজনীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ধর্মীয় মেরুকরণ যে তাদের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক কৌশল, তা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। দেশের ক্ষমতাশীল বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। তবে পাল্টা অভিযোগও রয়েছে। এসবের মধ্যেই এবার বিতর্ক বাড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাম্প্রদায়িক মন্তব্যকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিধানসভায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির অভিযোগ তুলে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে খারিজ করে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই পোস্টার, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। প্রতিবাদে ছোড়া হয় কাগজও। স্পিকার তাদের নিষেধ করলে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করেন এবং বিধানসভা গেটের বাইরে এসে প্রতিবাদ জানান।সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বারুইপুর পশ্চিমে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এরপরই বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূল থেকে যে কজন মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে, তাদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেব।”এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিমে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই তিনি রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্ষেপে তিনি বলেন, “আসুন, স্বাগত। আমি নিজে মঞ্চ বেঁধে মাইকের ব্যবস্থা করে দেব।”
Facebook Comments Box