জৈদুল সেখ, কান্দী, মুর্শিদাবাদ: পবিত্র রমযান মাসে সিয়াম সাধনার সময় ফলের চাহিদা বাড়ার সুযোগে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা রমযানকে সবচেয়ে পুণ্যের মাস হিসেবে মনে করেন এবং পুরো মাসজুড়ে রোজা পালন করেন। এই সময় ফল, সবজি, ও মুদির সামগ্রীর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে বাজারে খেজুরের খুচরা মূল্য ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, যা আগে তুলনামূলক কম ছিল। শসার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে। আপেলের দাম ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে, কলার দামও ১৫-২০ টাকা বাড়িয়ে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আঙুরের দাম প্রতি কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে। তরমুজসহ অন্যান্য ফলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে পাতিলেবুর। কয়েকদিন আগেও ১০ টাকায় পাঁচটি পাতিলেবু পাওয়া গেলেও, এখন চারটি লেবুর দাম ২০ টাকা হয়ে গেছে।
কেন রমযান এলেই ফলমূলের দাম বেড়ে যায়? খুচরা বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, আড়ৎদাররা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছেন, যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ছে। তাদের মতে, আড়ৎদারদের ওপর প্রশাসনের নজরদারি বাড়ালে কালোবাজারি বন্ধ হতে পারে।
কান্দির জীবন্তি এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বহরমপুরের আড়ৎ থেকে তারা বেশি দামে মাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে তারা কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না। এদিকে, সাধারণ ক্রেতারা প্রশাসনের প্রতি ফলের দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে রোজাদাররা ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করতে পারেন।