শনিবার হরিয়ানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম গ্রেপ্তার করেছে বরখাস্ত ইনস্পেক্টর রাধে শ্যামকে, যিনি পালওয়াল সিটি থানার তৎকালীন স্টেশন হাউস অফিসার (SHO) ছিলেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাজস্থানের এক প্রতারণা মামলার অভিযুক্ত মুসলিম যুবককে হেফাজতে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, রাধে শ্যাম অভিযুক্তকে ব্যাপক মারধর করেন, জোর করে মরিচের পেস্ট খাওয়ান এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে তা যৌনাঙ্গে প্রবেশ করান। তিনি পূর্বেও হেফাজতে নির্যাতনের জন্য পরিচিত ছিলেন এবং বারবার মুসলিমদের টার্গেট করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ১৬ এপ্রিল অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষ হয় এবং রেওয়াড়ি রেঞ্জের আইজি তাকে বরখাস্ত করেন। তবে তিনি এখনও আরও একটি মামলায় তদন্তাধীন, যেখানে দুই সাইবার ক্রাইম অভিযুক্তও তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। রাধে শ্যাম এর আগে নুহ জেলার ‘স্পেশাল কাউ প্রোটেকশন টাস্ক ফোর্স’-এর প্রধান ছিলেন এবং বজরং দল ও বিতর্কিত হিন্দু গো-রক্ষক বিত্তু বজরঙ্গীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিত্তু বজরঙ্গী অতীতে মুসলিম বিরোধী সহিংসতা ও লিঞ্চিং মামলায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত। কংগ্রেস নেতা ও নুহের বিধায়ক আফতাব আহমেদ বলেন, “রাধে শ্যাম একজন অভ্যাসগত অপরাধী। তিনি বারবার মুসলিমদের টার্গেট করে হেফাজতে নির্যাতন করেছেন। তার বরখাস্ত হওয়া ন্যায়বিচারের প্রথম পদক্ষেপ।” তবে বরখাস্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। বিত্তু বজরঙ্গী হুমকি দিয়েছেন, যদি রবিবারের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হয়, তবে তারা মথুরা রোড অবরোধ করবেন। যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে রাধে শ্যামকে চিনেন না বলে দাবি করেছেন, তবুও ‘গরু পাচার রোধে’ তার পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এই ঘটনাটি হরিয়ানায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং হেফাজতে নির্যাতন ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
Facebook Comments Box